একটা দেশের এইরকম গোঁড়ামি খুবই খারাপ... এই দেশে সিনেমা হল ছিল ১৩০০... মানে যখন তামিল, তেলুগু, হিন্দি ছবি নকল করে ছবি বানানো হতো, আর বাংলার মানুষ হুমড়ি খেয়ে হলে যেত। যেই সময়কালকে আবার আমরা নাম দিয়েছি, চলচ্চিত্রের স্বর্ণালী যুগ আর কি। যদিও এটা পরিষ্কার যে, ইন্টারনেট যদি সেসময় থাকতো, তাহলে বাংলাদেশে স্বর্ণালী যুগ বলে কিছু বলার সুযোগই তৈরি হতো না। আচ্ছা যাই হোক, যা গেছে গেছে...
কিন্তু এই সময়ে হল আছে ৭০ টা। এখনো আমরা গোঁড়ামি করে বসে আছি। একে একে সব হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের মাথা থেকেও ক্রিয়েটিভ কিছুই বের হচ্ছে না। এখনো বসে থাকি, কোন ইন্ডাস্ট্রিতে কবে মারদাঙ্গা একটা মুভি হবে, আর আমরা সেটাকে কপি মেরে উরাধুরা ব্যবসা করবো এই ধান্দায়।। এই অবস্থাতে আসলে গোঁড়ামির কোন মানেই হয় না। এই দেশে তামিল, তেলুগু সিনেমার অডিয়েন্স হিউজ।। সিনেমা হল বাড়াতে আপাতত তামিল, তেলুগু মুভি গুলি ডিরেক্ট বাংলাদেশে রিলিজ দেয়ার চিন্তা করাটা যথেষ্ট সময়োপযোগী হবে আমার মতে। আপনারা তো সিনেমা বানাতে পারছেন না বা বানাচ্ছেন না। আর বানালেও সেগুলি দেখতে কেউ হলে যাচ্ছে না। এতে করে হল গুলি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। হল বাঁচাতে দর্শককে হলে আনার কোন বিকল্প নাই। আর সেটা যেকোন দেশের সিনেমা রিলিজ দিয়েই হোক না কেন।। তাই, তামিল, তেলুগু মুভি গুলি বাংলাদেশের হলে রিলিজ দিন। আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, ২ বছরের মধ্যে হল সংখ্যা বেড়ে ৪০০ হয়ে যাবে। এতে করে বাংলা মুভিও ব্যবসা করতে পারবে।। হল না থাকলে কিভাবে ব্যবসা করবেন এটা তো আপনাদের মাথায় ঢোকা উচিত।। তাই গোঁড়ামি বাদ দিয়ে, বাইরের মুভিগুলি আসতে দিন।
ধরুন, পুস্পা ২ বা সালার যদি একই দিনে ইন্ডিয়া আর বাংলাদেশে মুক্তি দেয়া হয়, বাংলার হল মালিকরা লাভ গুণে শেষ করতে পারবে না।। একটা বিরাট বাঙ্গালী অডিয়েন্স এইসব মুভির জন্য অপেক্ষা করে থাকে। তাদের মনের খোরাকও মেটাতে দিন, আর আপনারাও ব্যবসা করুন।। যে বাঁধা দিয়ে বলবে, বাংলার মাটিতে হিন্দি ছবি কেন?? তারে কানের নিচে মেরে বলবেন, তোদের তো বহুত টাইম দিলাম।। হল তো কমতে কমতে শেষের পথে।। তাই মুখ বন্ধ করে, চুপ করে দেখ, কি হয়! এতো চেতনার দরকার নাই।। অন্য দেশের মুভি সিন টু সিন নকল করতে যেহেতু শরম করে না, তাহলে তাদের মুভি ডিরেক্ট আমাদের চলতে দেখলে লজ্জা পাবার কিছু নাই।
রাফি
No comments:
Post a Comment